গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কোরবানীর হাটে এবার আসছে ”পালোয়ান’’
আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত পালোয়ান।
থাকার ঘরের পাশেই ছোট্ট একটা গোয়াল ঘর। এখানেই থাকে ১৫ মণ ওজনের গরু ‘পালোয়ান’। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে নিজ সন্তানের মতো পালোয়ান’কে লালন পালন করছেন ক্ষুদ্র চাল- ডাল ব্যবসায়ী লাবলু মিয়া। এবার কোরবানীর জন্য পলাশবাড়ীর এ পালোয়ানকে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। বিশালাকার এই পালোয়ানকে দেখতে ভীড় করছেন বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুরপুর গ্রামে ‘পালোয়ান’ নামে একটি গরু প্রস্তুত করেছেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ক্ষুদ্র চাল-ডাল ব্যবসায়ী লাবলু মিয়া। কালো রঙের গরুটিকে আড়াই বছর ধরে নিজ সন্তানের মতো লালন পালন করছেন লাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী সন্তান।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনীতে লাবলু মিয়ার গীড় জাতের এই ষাঁড় গরুটি পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে পুরুষ্কার অর্জন করে। সে সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামও বলেন বেশ ক’জন ক্রেতা। আসন্ন ঈদে কোরবানীর হাটে গরুটি ৫ লাখ টাকা বিক্রির টার্গেট করেছেন লাবলু মিয়া।
লাবলু মিয়া জানান,গত আড়াই বছর ধরে দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খৈল,গম,ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুষি,চিটাগুড়,ভিজানো চাল,খুদের ভাত,খড়,নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয় ষাঁড় গরু পালোয়ানকে। এছাড়াও প্রতিদিন কমলা ও আপেল খাওয়ানো হয় পালোয়ানকে। ন্যায্য দাম পেলেই তিনি গরুটি বিক্রি করবেন জানান। গরুটি একটু ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে তার সংসারে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে বলেও আশা পোষন করেন তিনি। সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি ব্যবসারও একটু পরিধি বাড়াতে চান তিনি।
‘পালোয়ান’কে যদি কেউ কিনতে চান বা কোরবানী দেওয়ার জন্য কিনতে চান তাহলে গরু মালিক লাবলু মিয়া তার ০১৭৪০~৯৭৬৭৪৭ এই মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন,আমরা তার গরুটি নিয়মিত দেখাশোনা করেছি। লাবলু মিয়া অনেক বেশি যত্ন নিয়ে গরুটি লালন পালন করেছেন। এই কোরবানী ঈদে গুরুটি বিক্রি করবে সে। যদি ন্যায্য দাম পায় তাহলে অনেক উপকার হবে লাবলু মিয়ার। গরুটির ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।√#